অ্যাডভোকেটদের সব ট্রেইনিং অ্যাডভোকেটরাই নিয়ে থাকে, ইন্জিনিয়ারদের ট্রেইনিং ও ইন্জিনিয়ার নেয়, পাইলটদের ট্রেইনিং পাইলটরা নেয় অথচ পৃথিবীর মধ্যে বাংলাদেশ ই একমাত্র দেশ যেখানে নার্সদের প্রফেশনাল ট্রেইনিং নার্সরা কম নেয়, আর যদি নেয়ও নেতৃত্বে থাকে অন্য প্রফেশনের লোকজনের কাছে। এটা যে শধু সরকারী ক্ষেত্রে তা কিন্তু নয়, বেসরকারী ক্ষেত্রেও একই অবস্থা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নার্সিং পেশাকে স্বতন্ত্র পেশা স্বীকৃতির পরও কেন এই অবস্থা জানিনা।
প্রায় সকল প্রফেশনে সরকারি ও বেসরকারী পর্যায়ে অনেক ওয়ার্কশপ বা ট্রেইনিং কিংবা সেমিনার হয়, কিন্তু নার্সিংয়ের মতো এতো গুরুত্বপুর্ন বিভাগে আমরা এসব প্রোগ্রাম খুব কম দেখি। আন্তর্জাতিক সেমিনার না হলে বহির্বিশ্বে রোগীদের সেবায় যে পরিবর্তন হচ্ছে আমরা তা জানবো কিভাবে।
যে গুটি কয়েক কার্যক্রম দেখি সেখানে নার্সের ভুমিকা থাকে গৌণ । এই নাজুক অবস্থার জন্য আমাদের নিজেদেরকেই দোষারোপ করা উচিৎ।
কারন, আমরা নিজেরা কখনো উপলদ্ধি করিনা আমাদের প্রোগ্রামে আমাদের ট্রেইনার হওয়া প্রয়োজন, আমাদের সেমিনারে আমাদের মূল প্রবন্ধ পাঠ করা প্রয়োজন।
যোগ্য নেতৃত্বের অনেক গুলো গুণ থাকে , তার মধ্যে দুটো গুরুত্বপুর্ন গুণ হলো পরিবর্তন আনা এবং আইডিয়া উপস্থাপন করা।
শধুমাত্র চাঁদা তোলা, মন্ত্রী-সাংসদদের ফুল দেয়া আর দিবস পালনের সংস্কৃতি থেকে আমাদের বের হয়ে আসতে হবে , এগুলোর পাশাপাশি প্রফেশনের পরিবর্তনের জন্য কাজ করতে হবে, তার জন্য দরকার আপনার আইডিয়া। আর আপনি যদি এগুলোতে আপনার পারদর্শিতা না দেখাতে পারেন তাহলে আর যাই করেন অন্তত প্রতিবন্ধকতা তৈরি করবেন না।
আমরা সরকারের কাছে কখনো পরিকল্পনাও জমা দেইনা, সরকার স্ব-প্রণোদিত হয়ে যা দেয় তাতেই সন্তুষ্ট থাকি। কাজেই সরকারের দোষ দিয়ে নিজের অযোগ্যতাকে ঢাকার বৃথা চেষ্টা আর কতো করবো ?
বিশ্বের সব নাম করা বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে নার্সিং ফ্যাকাল্টি আছে , যেখানে ফ্যাকাল্টি ডিনরাও থাকে নার্স।
তাহলে আমাদের এখানে সমস্যা কোথায় ?
আমাদের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে কেন এখনো নার্সিং ফ্যাকাল্টি খোলা হচ্ছেনা ।
নিজের অবস্থান নিজে বুঝতে, আমরা আর কতো সময় নিবো?
সব কিছুুর জন্য প্রতিবাদ করতে হয়না। কিছু ব্যাপার উপলদ্ধি করতে পারাটাও ইতিবাচক পরিবর্তন নিয়ে আসতে পারে।
শফিউল আজম শাকিল
রেজিষ্টার্ড নার্স